দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে প্রযুক্তি। প্রতি মুহূর্তে এর পরিবর্তন হচ্ছে। আপগ্রেড হচ্ছে। এ অবস্থায় শুধু কম্পিউটার জানলেই চলছে না। কম্পিউটারে কে কত দ্রুত কাজ করতে শেষ করতে পারে, তারও প্রতিযোগিতা চলছে। আর কম্পিউটারে দ্রুত কাজ করতে গেলে শুধু মাউসের উপর ভরসা করলে হবে না। কি বোর্ডের ফাংশনটা যার যত জানা, তিনি কম্পিউটারের সামনে ততো স্মার্ট।
কি বোর্ডের একেবারে উপরে F1 থেকে F12 পর্যন্ত পরপর কয়েকটি অপশন থাকে। নিশ্চয়ই জানেন। আপনি হয়তো জানেন, কিন্তু অনেকেরই অজানা যে, ওই Key গুলিই কম্পিউটারের সামনে আপনাকে স্মার্ট করে তুলবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, F1 থেকে F12-এর কোনটির কী কাজ।
F1: প্রায় সব প্রোগ্রামেরই হেল্প স্ক্রিন খুলে যায় এই Key টিপলে। এর মানে হচ্ছে, ধরুন আপনি কোনও একটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানেন না। F1 টিপলেই সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও প্রশ্নোত্তর সমেত একটি স্ক্রিন খুলে যাবে আপনার ডেস্কটপে।
F2: কোনও একটি ফাইল বা ফোল্ডারের rename দিতে গেলে, অনেকেই মাউসের সাহায্য নেন। শর্টকাটটা হল F2। মাউসের প্রয়োজনই পড়বে না।
F3: কোনও একটি অ্যাপ্লিকেশনের (সেই মুহূর্তে যে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করছেন) সার্চ ফিচার খুলে যায় এই Key টিপলে।
F4: উইন্ডো বন্ধ করার জন্য F4 দারুণ শর্টকাট। Alt+F4 টিপলে অ্যাক্টিভ উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে।
F5: কোনও একটি পেজ রিফ্রেশ বা রিলোড করতে গেলে খামোখা মাউস নাড়াচাড়ায় সময় নষ্ট না করে F5 টিপে দিন।
F6: এই Key টিপলে ইন্টারনেট ব্রাউজারে কারসার সোজা চলে যায় অ্যাডড্রেস বার-এ।
F7: মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা কোনও অ্যাপ্লিকেশনে কিছু লেখার পর বানান ও ব্যাকরণগত কোনও ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবে F7।
F8: উইন্ডোজের বুট মেনুকে ব্যবহার করতে পারবেন এই Key-এর মাধ্যমে।
F9: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোনও ডকুমেন্ট রিফ্রেশ করতে চাইলে ও মাইক্রোসফট আউটলুকে ই-মেল পাঠানো ও রিসিভের কাজ মিটে যায় এই শর্টকাট Key-এর সাহায্যে।
F10: কোনও একটি অ্যাপ্লিকেশনে মেনু বার আনতে গেলে বেশির ভাগ মানুষই রাইট ক্লিক করেন মাউজে। দরকারই পড়ে না যদি আপনি shift+F10 ব্যবহার করেন। রাইট ক্লিকেরই কাজ করে।
F11: ইন্টারনেট ব্রাউজারে ফুলস্ক্রিন মোডে ঢুকতে ও বেরতে কাজ করে F11 Key।
F12: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট Save as করতে গেলে মাউসের সাহায্য না নিয়ে এই Key-এ শর্টকাটে সেরে ফেলুন।