১৪ এপ্রিল থেকে ফেক (ভুয়া) আইডি নিধন শুরু করেছে ফেসবুক সিকিউরিটি টিম। এ অভিযান চলবে আগামী ছয় মাস। ফেসবুক সিকিউরিটি টিমের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ঠেকানোর কার্যকর উপায় হিসেবে উন্নত ব্যবস্থা নিয়েছে ফেসবুক। এ ক্ষেত্রটিকে উন্নত করলে ফেসবুক কমিউনিটি উন্নত হবে। এটা বিজ্ঞাপনদাতা, প্রকাশক ও সহযোগীসহ সবার কাজে আসবে।
ফেক নিধন করতে গিয়ে অনেকের আসল (জেনুইন) আইডিগুলোও স্থায়ীভাবে ডিজেবলড অথবা ডিলিট হয়ে যেতে পারে। যেসব ফেসবুক আইডিতে নিজের ফটো (ছবি), মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি নেই ফেসবুকের এই নিধন অভিযানে সেগুলো একেবারের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে হয়েছে অনেকের। গত দুইদিন ধরে বাংলাদেশের অনেকে ফেসবুকে ঢুকতে পাড়ছে না। বারবার আইডি পাসওয়ার্ড দিলেও খুলছে না ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। লগইন করলে আইডি লক দেখাচ্ছে। দেয়া হচ্ছে নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) প্রশ্ন।
বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট চালু করতে একটি সুনির্দিষ্ট যাচাই প্রক্রিয়ার (ভেরিফিকেশন) মধ্য দিয়ে যেতে বলছে ফেসবুক।
তবে আইডি যদি আসল হয়ে থাকে তাহলে বিশেষ আরেকটি পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসবুকের এই ডিজেবলের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। অ্যাকাউন্টধারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইমেইল অ্যাড্রেস ফেসবুকের কাছে পাঠিয়ে তা পর্যালোচনার জন্য জমা দিতে বলছে তারা। হেল্প সেন্টারে গিয়ে ‘সাবমিট অ্যান আপিল’ লিঙ্কে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলেই সেসব অ্যাকাউন্টকে ফিরিয়ে দেয়া বা রিঅ্যাকটিভ করে দেয়ার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখছে ফেসবুক।
আইডি ফিরে পেতে আপিল করবেন যেভাবে
১। আপিল করতে হলে প্রথমে www.facebook.com/help এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। (ব্রাউজারে অন্য কোনো ফেসবুক সাইন ইন করা থাকলে আগে সেটি লগআউট করতে হবে।)
২। এরপর ‘Login email address or mobile phone number’ এই বক্সটিতে আপনার ডিজেবল হওয়া ইমেইল আইডি অথবা ফোন নম্বরটি উল্লেখ করুন।
৩। ‘Your full name’ বক্সটিতে আপনার ফেসবুক আইডিটি যে নামে ছিল তা উল্লেখ করুন। (অল্টারনেটিভ নাম যদি ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া থাকে সেটাও উল্লেখ করে দিন।)
৪। এরপর ‘Your ID (s)’ বক্সটিতে আপনার আইডি কার্ডের এক কপি স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে দিন, যাতে আপনার নাম ও ছবিটা স্পষ্ট থাকে। সেই আইডিকে স্ক্যানের মাধ্যমে জেপিইজি (JPEG) ফরম্যাটে সেভ করে এখানে আপলোড করুন। (আপনার আইডিগুলোর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স ফেসবুকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য।)
৫। আপনার আইডি সম্পর্কে অতিরিক্ত কোনো তথ্য থাকলে ‘Additional info’ এর ঘরে দিতে পারেন। এর মধ্যে আপনার ফেসবুক আইডিতে ফ্রেন্ডের সংখ্যা কিংবা কোনো পেজ অথবা গ্রুপের এডমিন থাকলে তাদের নামসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে দিতে পারেন। (যদিও এটা খুব একটা বাধ্যতামূলক নয়, তবে আইডি ফিরে পেতে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।)
৬। এবার ‘Send’ বাটনে ক্লিক করলেই আপিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আপিলের ফলাফল ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে।
যাদের আসল অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে তাদের জন্য আশার বাণী হচ্ছে, ফেসবুক কখনোই আসল আইডিকে আপিলে আটকে (পেন্ডিং) রাখে না, রাখবে না। আপিলের নির্ধারিত তথ্যগুলো প্রদান করলেই আইডি ফিরে পাওয়ার ৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌজন্যে : দৈ: শি:ড:ক: